তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার তালতলীতে ইমরানুল হক তুহিন নামে এক রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকে দায়ীত্বরত অবস্থায় মারধরের অভিযোগ উঠে এক পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে । প্রতিবাদে উপজেলা জেলাসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংঘটন তাদের সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার ঘোষনা দেয়।

পুলিশ সদস্যর এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। ভোরের পাতা সহ বিভিন্ন জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানগেছে তালতলী ২০ শয্যা হাসপাতালে করোনার টিকা নিতে আসা সেবা প্রত্যাশীদের সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিরিয়াল ঠিক রাখায় কাজ করতেছিলো যুব রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা।

পুলিশ সদস্যরা ও রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা যৌথ ভাবে দায়িত্ব পালনের এক পর্যায় টিকা নিতে আসা একজন সিরিয়াল ঠিক রেখে টিকা রেজিস্ট্রেশন ও এনআইডি কার্ডের ফটোকপি করতে দোকানে যায়। দোকান থেকে সেই ব্যাক্তি ফটোকপি নিয়ে ফের হাসপাতালে প্রবেশ করেন। এতে বাধা দেন পুলিশ সদস্য আবু সাইদ।

এসময় যুব রেডক্রিসেন্টের সদস্য ইমরানুল হক তুহিন ওই পুলিশ সদস্যকে বলেন, ওই ব্যাক্তি সিরিয়াল ঠিক রেখে বাহিরে গেছিলো ফটোকপি করতে। তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেন। সাথে সাথে পুলিশ সদস্য আবু সাইদ চড়াও হয়ে তুহিনকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তুহিনের হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়।

পরে তুহিনকে উদ্ধার করে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে যুব রেডক্রিসেন্টের সদস্য ইমরানুল হক তুহিনের মা আসেন হাসপাতালে টিকা দিতে ছেলেকে মারধরের ঘটনা তার চোখের সামনেই হয়।

খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।মুহুর্তে উপজেলা জেলাসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংঘটন তাদের সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। এবং মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ডাকদেয়।পুলিশ সদস্য এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ওঠে নিন্দার ঝড়।

বরগুনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে পুলিশ সদস্য আবু সাঈদকে তালতলী থানা থেকে অপসারন করে পুলিশ লাইন্সে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহাররম আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন তারা। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।